বাহিরে রিমঝিম বৃষ্টি হচ্ছে। ক্লাস শেষ, বাইরে যাওয়ার মত পরিস্থিতি নেই। ক্লাস রুমের বাইরে ভিতরে সবাই এদিক ওদিক চলাফেরা করছে; কেউবা জোট বেধে গল্প করছে। আমি বারান্দার রেলিং ধরে কৃষ্ণচূড়া গাছের দিকে অপলক দৃষ্টিতে বৃষ্টি দেখছি। হঠাৎ আমার পাশে এসে দাড়ালো শিমুল। কি দেখ ওমন করে। বৃষ্টি দেখছি; দৃষ্টি না ফিরিয়ে জবাব দিলাম।
কিছুক্ষণ পর আমি শিমুলের দিকে দৃষ্টি ফিরলাম। চোখে চোখ পড়ায় শিমুল একটু লজ্জা পেল এবং ইন্দুবালার মত খানিক হেসে মাথা নিচু করলো। আমি বললাম,দেখ শিমুল কি সুন্দর বৃষ্টি হচ্ছে। শিমুল আমার হাতে পাশে হাত দিয়ে রেলিং ধরে আনমনাভাবে কৃষ্ণচূড়া গাছের দিকে তাকিয়ে রইল। দুজন বৃষ্টি দেখছি। আমি রেলিং এর ফাঁক দিয়ে হাত বাড়িয়ে ছাদ থেকে পড়া পানি মুঠো বন্দি করে জলকেলি করছি। শিমুল গুন গুন করে গাইছে ‘‘টিপটিপ বৃষ্টি ঝড়ছে অঝরে আজ সারা দিন ধরে..........’’।
দেখ শিমুল বৃষ্টির বিন্দুগুলো একদম হীরার মত দেখতে। শিমুল গুন গুন বাদ দিয়ে দূর আকাশের দিকে তাকিয়ে আনমনা ভাবে কি যেন ভাবলো; আমার কথার কোন জবাব দিলনা। শিমুল এবং আমি সবে মাত্র অর্নাসে ভর্তি হয়েছি। ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে আমরা এক সাথে প্রায়ই আড্ডা দিতাম। শিমুলের সাথে আমার অনেক কিছুর মিল ছিল। যেমন, পরিবারের লোকসংখ্যা, নামের প্রথম অক্ষর, বাবার সন্তানের মধ্যে আমি বড়, নানা নানি দেখিনি, আমার ভাই ছোট,পছন্দের বিষয় আরো অনেক কিছুর মিল ছিল।
আমাদের বিভাগের এক বড় ভাই শিমুল কে পছন্দ করতো। মাঝে মাঝে আজাদ ভাই এর সাথে অনেক কথা হত শিমুলের। আমার ধারণা শিমুল আজাদ ভাই এর কথায় কান দেয় নি। আমি মাঝে মধ্যে শিমুলে সাথে মোবাইলে কথা বলতাম।
কলেজে ভর্তি হয়েছে প্রায় দু’মাস। এর মধ্যে অনেক বন্ধ বান্ধবী জুটেছে। একদনি আমার বন্ধু শফিক এর কাছে আমার একটা প্রয়োজন হল; ফোন দিলাম ও মেসে চলে গেছে। আমি আনজু ও শিমুলকে বললাম চল একটু সামনে থেকে ঘুরে আসি। শফিক এর মেস কলেজ গেট হইতে একটু দূরে। হেটে যেতে প্রায় পাঁচ মিনিট লাগে। আমি আনজু ও শিমুল হেঠে যাচ্ছি শফিকের মেসে।
আকাশের অবস্থা ভাল নয়। যে কোন সময়ে বৃষ্টি নামতে পারে। দুপুর তখন ১২ টা বাজে। আনজুর বাসা এখানেই। আমি এবং শিমুল কলেজ বাসে যাই। শফিকের মেস প্রায় পেয়ে গেছি এমন সময় মূষল ধারে বৃষ্টি শুরু হল। আমার মেসের পাশে একটা বাসার নিচে উঠলাম। আমাদের সাথে দুই ভদ্রলোক উঠলো ওখানে।
বৃষ্টি বৃষ্টি বৃষ্টি প্রায় দের ঘন্টা একটানা হল। আমরা তিনজন ছোট বড় কথা বলছি। ঐ দুজন ভদ্রলোক আমাদের থেকে একুট দূরে। আমরা একটা দেওয়ালের লেখা নিয়ে কথা বলছি। আনজু বললো এই বানানটা ভূল। তখন ঐ দুজনের মধ্যে একজন বললো তোমরা কি বাংলায় পড়? আমরা হেসে উঠলাম।
বৃষ্টি এখনও ছাড়েনি। তিজনের কাছে মাত্র একটা ছাতা। শিমুল আমাকে জিজ্ঞাসা করলো কত বাজে। আমি পকেট থেকে মোবাইল বের করে দেখলাম ২.৩০ বাজে। আর মাত্র ১৫ মিনিট বাকি তাই কলেজ বাস ছাড়বে। আনজু বললো তোরা ঐ রিক্সাতে যা আমি ছাতা নিয়ে চলে যাই। শিমুল প্রথমে আপত্তি করলো। তারপর পরিস্থিতির শিকার হয়ে দুজন এক রিক্সায় চেপে বসলাম।
লজ্জায় রিক্সার মধ্যে কেউ কারো দিকে তাকালাম না। এমনকি কোন কথা বললাম না। সোজা কলেজ বাসে উঠলাম। আমি নিয়মিত ক্লাস করতাম, আনজু ও শিমুল করতো। একদিন কলেজ থেকে এসে বিকালে ইছামতি নদীর পাড়ে বসে আছি। নদীর পারে হালকা হালকা বাতাস বইছে। হঠাৎ আমার মোবাইলটা বেজে উঠলো দেখি শিমুলের নম্বার।
হ্যালো, ভাল আছ, আছি মোটামুটি, তুমি কেমন আছ ? ভাল , শোন আমি এক সপ্তাহ’র জন্য একটা ট্রেনিং করতে যাচ্ছি। আর এই ক’দিন কলেজে আসবো না। যাবে যখন যাও; কথায় আছে না ‘‘যেতে চাইলে কাউকে ধরে রাখা যায় না’’। আচ্ছা ভাল থেক। এদিকে সন্ধ্যা হয়ে এসেছে। নদীর পাড় হতে উঠে বাড়িতে আসলাম। কি কারণে যেন মনটা হঠাৎ খারাপ হয়ে গেল।
পর দিন কলেজে গেলাম। একটা ক্লাস করলাম, ঐদিন শিমুল আসেনি; ক্লাস শেষে আনজু আমাকে ডাকলো ওর কথায় কোন কান দিলাম না; সোজা কলেজ বাসের দিকে আসছি। রাস্তায় শফিক ও আলহাজ এর সাথে দেখা। আলহাজ বললো কিরে ক্লাস শেষ নাকি? ভাল লাগছে না বাড়ি যাব।
তারপর দিন কলেজে গেলাম না রাত দশটার দিকে শিমুলের সাথে কথা হল। তখন জ্যোৎস্না রাত আমি শিমুলকে নদীর পাড়ের জ্যোৎস্নার বর্ণনা দিলাম; সে বর্ণনা শুনে আফসোচ করলো। দেখ আমি এখন চার দেওয়ালের মধ্যে, চাঁদের আলো দেখতে পারছি না। সারাদিন ট্রেনিং করে ক্লান্ত হয়ে পরেছি এখন ঘুমাব। শুভরাত্রি।
প্রতিদিন ওর সাথে কথ বলা আমার একটা নেশায় পরিণত হল। শিমুলের সাথে একদিন কথা না বললে আমার ভাল লাগতো না। আমি কি কারণে যেন ওর দিকে দূর্বল হতে লাগলাম। শিমুলের ট্রেনিং আর মাত্র চারদিন বাঁকি। এর মধ্যে আমি কলেজে এক দিনও যাইনি। বিকালে ওর সাথে কথা হল। আমি ওকে কি যেন জরুরী কথা বলবো, এমন সময় বললো এই শোন স্যার ডাকছে রাত ১১টার দিকে ফোন দিও, বাই।
লাইনটা কেটে গেল-আমি অপেক্ষা করতে লাগলাম কখন এগারোটা বাজবে। সন্ধ্যায় পড়ার টেবিলে বসে, রাখালী কাব্যের পৃষ্ঠা উল্টাছি এমন সময় বিদ্যুৎ চলে গেল। খাওয়া শেষে নদীর পাড়ে এসে বসলাম। তখন কার্তিক মাস,নদীর পাড়ে হিমেল হাওয়া বইছে। একটু একটু শীত অনুভব হচ্ছে। আমার প্রতিক্ষায় প্রহর যেতেই বাচ্ছে না। চারদিক জনমানবের শব্দ নেই। মাঝে মাঝে নদীতে দু-একটা মাছ ভেলকি মেরে উঠে। কখনও শোনায় ক্ষুদার্থ কুকুরের আর্তনদ বা দুএকটা ডাহুক ডাকার শব্দ। মাঝে মাজে জি জি পোকাও ডাকে এবং মাথার উপর দিয়ে শা শা করে উড়ে যায় দু-একটা পাখি।
মোবাইলে চাপ দিয়ে দেখলাম এগারোটা বাজে। তখন শিমুল কে ফোন দিলাম। এক দুই পাঁচ বার ফোন দিলাম কোন উত্তর নেই। মিনিট পাঁচেক পর একটা মিস কল এল। আমি ফোন দিলাম আবারও রিসিভ করলো না। শিমুল ও ফোন দিল আমিও রিসিভ করলাম না। আমার সাতে জোক করছে। তারপর প্রায় চল্লিশ বার ডায়েল করলাম, এরপর ফোন বন্ধ।
এদিকে মাথায় হালকা শিশির পড়ছে। কণ্ঠটা একটু ভারিভারি মনে হল। নদীর পাড়েু বসে আছি। অপেক্ষা শিমুলের সাথে কথা বললো। মাঝে মাঝে ডায়েল করলাম কিন্তু ফোন বন্ধ। কিছুক্ষণ নদীর পাড়ে বসে রইলাম; এখন দেখি চারটা বাজে। বাড়িতে আসলাম আসাহত মনে, কিছুক্ষণ পর ফজরের আযান হল। সে রাত আর বিছানায় পিঠ দেওয়া হল না। সকাল বেলা শরীরটা একটু খারাপ মনে হল। যে কথা সেই কাজ দুপুরেই জ্বর।
বিকালে শিমুল ফোন দিল। হ্যালো বলতেই ও বললো, তোমার শরীর খারাপ ? না হালকা জ্বর এসেছে। তুমি আমার রাগ করেছ ? রাতে আমার ভীষণ জ্বর ছিল এবং সারাদিন ট্রেনিং করার পর আবার রাত আটটা হতে সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান; সারে দশটার দিকে অনুষ্ঠান শেষ হয়েছে। তোমাকে ফোন দিলাম তুমি রিসিভ না করায় আমি বেডের উপর ফোন রেখে কখন ঘুমিয়ে পড়েছি কিছুই বলতে পাড়বো না; আর ফোনে চার্জ ও ছিল না। শিমুল আর কদিন তোমার ট্রেনিং। জানো আরো দুদিন! আমার না একটুও ভাল লাগছে না। আন্টির সাথে কথা বলেছ ? কাল সকালে মার সাথে কথা হয়েছে; আর ফোন দেই নি।
হঠৎ করে আমার হৃদয় সাগরে ঢেউ উঠলো;আর সেই ঢেউ ডাকলো শিমুল নামের তরীকে। একদিন পর আমি শিমুলকে নানাভাবে বুঝতে চেষ্টা করলাম আমার হৃদয় সাগরে ঢেউয়ের ভাষা। আমার কথা ও যেন বুঝতে পাড়ে না। আমার মনে হল ও যেন ভাজা মাছ উল্টিয়ে খেতে পারে না।
আমি শিমুলের মুঠোফোনে বেশ কয়েকটা মেসেজ পাঠিয়েছি। শিমুল শুধু আমাকে একটা মেসেজ দিয়েছিল তাতে লেখা ছিল ‘পাগলামী করো না’। শিমুল মাঝে মাঝে আমাকে বলতো শোন সব মানুষের সব ভাষা বোঝার যোগ্যতা থাকে না। আমি তোমার বন্ধু ঠিক বন্ধু আর কিছু ভেবো না।
ওর ট্রেনিং শেষ হল; আমি দুদিন পর কলেজে গেলাম। ক্লাস করতাম মাঝে মাঝে ওর পাশে বসতাম, আড্ডা দিতাম। আমি কিছু বললেই ও বলতো আশ্চার্য্য। আমার ওর এই আচারণ খুবই ভাল লাগতো।
এক সময় আমি শিমুলে প্রণয় বাগিচার মধুকর হওয়ার জন্য পাগলামী শুরু করলাম। যেমন, আনমনা ভাবে একা একা কৃষ্ণচূড়ার নিচে ক্লাস ও প্রাইভেট বর্জন করে বসে থাকতাম ইত্যাদি। একদিন রাতে শিমুল ফোন দিল,অনেক কথার পর আমাকে কলেজে আসতে বললো।
আমি ওকে বললাম আমি কৃষ্ণচূড়ার উত্তর পাশে থাকবো ইচ্ছা হলে আসতে পার। কলেজে এসে আমি ও শফিক কৃষ্ণচূড়া উত্তর পাশে আমগাছের নিচে দাড়িয়ে দু-একটা কথা বললাম; কিছুক্ষণ পর শফিক চলে গেল। সে দিন প্রকৃতির অবস্থা ভাল না; প্রচুর কুয়াশা চারদিকে, কুয়াশা থেকে বৃষ্টি শুরু হল।
আমি দাড়িয়ে আছি আম গাছের নিচে। এর মধ্যে শিমুল আর লিমা প্রায় দশ থেকে পনের বার ফোন দিল,আমি ফোন রিসিভ করিনি। প্রায় ভিজে গেছি; এমন সময় আনজু ও শিমুল এল। আনজু কৃষ্ণচূড়ার নিচে মজিদের সাথে কথা বলতে লাগলো। শিমুল সোজা এসে আমার পাশে দাড়ালো।
আশ্চর্য্য বৃষ্টির মধ্যে....! তুমি যাও ভিজে যাবে.....। চল ডিপাটমেন্টের ভিতরে বসে কথা বলি। ও আমার হাত ধরে নিলে আসলো। বারান্দার রেলিং ধরে আনমনা ভাবে তাকিয়ে আছি। তখন আমার তিন বন্ধু হাসেম,শফিক,আলহাজ আমার বিষয় নিয়ে ওকে রিকুয়েষ্ট করলো। পরে আমি ঐখান হতে সরে গেলাম।
কিছু সময় পর হাসেম আমাকে বললো তোমার কপাল ভাল। আমি বিশ্বাস করতে পারছিনা যে ও আমার কথায় ঘাড় কাত করবে। এখন আমার মনে হল আমি আজ পৃথিবীর সকল মানুষের চেয়ে সুখি। আবার আমি নিয়মিত ক্লাস প্রাইভেট শুরু করলাম। আমি আর শিমুল প্রণয় বাগিচার প্রজাপতি হয়ে উড়াউড়ি করে দিন কাটাতাম। মাঝে মাঝে ক্লাস শেষে ক্যাম্পাসে দুজন পাশাপাশি বসে আড্ডা দিতাম। ওর মায়ের সাথেও মাঝে মাঝে কথা হত।
আজ দুদিন হল শিমুল আমার সাথে ভাল করে কথা বলে না। একদিন রাতে ও মার সাথে কথা বলছি হঠাৎ আমার একটা ইন্টারভিও কার্ড আসলো। সকালে কলেজে গেলাম;ওকে ডেকে নিয়ে আমি বললাম কি অপরাধ করেছি আমি, কথা বল না কেন ? শিমুল অকপটে বলে ফেললো আগে তোমাকে ভাল লাগতো এখন লাগে না ব্যস।
আমি কারণ জানতে চাইলে শিমুল বললো আমি অন্য কাউকে পছন্দ করি। এই কথা শোনার পর বিধাতা আমার বাক যন্ত্রনাটা আটকে ধরেছিল। কিছু বলতে গিয়েও বলতে পারিনি। আমি তখন পাথরের মমি হয়ে দাড়িয়ে ছিলাম। কিছুক্ষণ পর দেখি নিজের অজান্তে চোখের নিচে দুফোটা অশ্রু গড়িয়ে পরছে। শত চেষ্টা করে আমি অশ্রু ঠেকাতে পারিনি। আমি বিশ্বাস করতে পাড়িনি শিমুল আমাকে এই ষোল দিনে দুফোটা অশ্রু উপহার দেবে।
সে দিন অশ্রু সিক্ত নয়নে কলেজ থেকে এসেই সোজা ঢাকার উদ্দেশ্য রওনা হই। ইন্টারভিউ দিলাম কিন্তু চাকরী হল না। শুনি নাকি মামা খালু ছাড়া চাকরি খুব কমই হয়। আমি মাঝে মাঝে শিমুলকে ফোন দিতাম। আমি বিশ্বাস করতাম শিমুল একদিন হয়তো বলবে সাহেদ আমি ভূল করিছি আমি আসলে আমার হৃদয় থেকে ঐ কথা বলিনি। আমি ওর ফোনের অপেক্ষায় থাকতাম। আমার হৃদয় মন্দিরের দরজা ও জন্য সব সময় খোলা রাখতাম।
এভাবেই তিনটি বছর চলে গেল। আমার থার্ড ইয়ারের ফায়নাল পরীক্ষা শেষ। দুদিন পর শিমুলের নাম্বার থেকে ফোন এল। আমি খুশিতে আত্মহারা হয়ে উঠলাম। শিমুলের সকল স্মৃতি এসে আমার চোখের সামনে ভীড় জমালো। অনেক আশা নিয়ে সেন্ড বোতামে চাপ দিলাম এবং শুনতে পেলাম কাল শিমুলের বিয়ে। সাথে সাথে আবার ও মনের অজান্তে দুফোটা অশ্রু গড়িয়ে পড়ল।
৩০ মে - ২০১২
গল্প/কবিতা:
৮ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪